রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত পাকা ভবনের উদ্বোধন করবেন। এই বিদ্যালয়টি বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পের আওতাধীন এবং রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, উদ্বোধনের ঠিক আগের দিন, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা। পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মুঙ্গিয়াকামি ডি ব্লকের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও অধ্যবসায়ের সঙ্গে পড়াশোনা করছে। তাদের জন্য একটি সুসংগঠিত ও নিরাপদ শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলা ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”
মন্ত্রী আরও জানান, “বর্তমানে ছাত্রদের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এবং ছাত্রীদের জন্য ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আবাসিক হোস্টেলের নির্মাণ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। খুব শীঘ্রই তা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।” তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া একটি সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমান রাজ্য সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধুমাত্র ভালো ছাত্র-ছাত্রী না হয়ে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেও গড়ে উঠতে পারে।”
বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে শুধু একটি স্থাপনা নয়, বরং শিক্ষার আলো আরও গভীরভাবে পৌঁছাবে এই অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে—এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন এবং সরাসরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তেলিয়ামুড়া ও মুঙ্গিয়াকামিতে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহলে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের সরকারি উদ্যোগ শুধুমাত্র অবকাঠামোগত নয়, মানসিকভাবে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং তাঁদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে।
শিক্ষা, উন্নয়ন ও আশার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে মুঙ্গিয়াকামিতে—এমনটিই প্রত্যাশা সকলের