আবারো সংবাদদের শিরোনামে হাঁপানিয়া হাসপাতাল অভিযোগ মৃত ব্যক্তিকে বারো হাজার টাকার ওষুদের প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিলো হাঁপানিয়া নিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। মৃত দেহ নিয়ে হাঁপানিয়া হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ রোগীর আত্নীয় পরিজনদের।
আবারো হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। জানা গেছে বিশালগড় মধ্য ব্রজপুর এলাকার ৪০ বছর বয়সী তপন দাস নামে এক ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে উনাকে তড়িঘড়ি জিবি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান কিন্তু জিবি হাসপাতালে ওনার শারীরিক পরিবর্তন না হওয়ার কারণে উনার আত্মীয় পরিজনেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে শনিবার। প্রথমে উনাকে হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয় এবং পরে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তপন দাসের আত্মীয় পরিজনদেরকে বলে যে উনার কিডনির সমস্যা রয়েছে। শনিবার আইসিইউতে থাকাকালীন সময়ে রক্ত বমি হয় উনার। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর আত্মীয় পরিজনদেরকে প্রচুর টাকার ঔষধ লিখে দেয় এবং পরিজনেরা সবগুলি ঔষধ এনে চিকিৎসকের হাতে তুলে দেয়। পরে আবারো অনেক টাকার ঔষধ লিখে দেয় এবং আবারও তারা সেই ঔষধ কিনে নিয়ে আসে। তপন দাসের এক ভাগিনা স্টাফ নার্স সে তার মামার শিরায় হাত দিয়ে দেখেন উনি মারা গেছেন কিন্তু চিকিৎসকরা নাকি বলেছেন এখনো মারা যাননি। পরের তড়িঘড়ি করে তপন দাসকে আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তপন দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে এবং বলা হয় যে হাপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময়ে উনি মারা গেছেন। এই কথা শুনতে পেয়ে তপন দাসের পরিবারসহ আত্মীয় পরিজনেরা উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং তপন দাসের মৃতদেহ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় হাঁপানিয়া হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তপন দাসের আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ চিকিৎসকরা মৃত ব্যক্তিকে জীবিত বলে দোকান থেকে হাজার হাজার টাকা ঔষধ কিনে নিয়ে আসলে সেই ঔষধ গোপনে আবার দোকানে বিক্রি করে আলাদাভাবে কামাই বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তপন দাসের আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা শুধু নামের চিকিৎসা। রবিবার সন্ধ্যায় তপন দাসের বিক্ষুব্ধ আত্মীয় পরিজনেরা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদেরকে খুনি বলেও ব্যাখ্যা দিতে শোনা গেছে। রবিবার তপন দাসের আত্মীয় পরিজনদের পক্ষ থেকে সকলের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় লিখিত আকারে মামলা দায়ের করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় গোটা হাসপাতাল চত্বর উত্তেজনাপূর্বক পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়লে আমতলী থানার পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোতায়ন করা হয়। এই ব্যাপারে মৃত তপন দাসের এক ভাগিনা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরলেন। অভিযোগ তপন দাসের মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী আপনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।