৪৩ নং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক বাংলাদেশী ও ভারতীয় চার মহিলা জোওয়ান কর্তৃক হেনস্থা শিকার ।
বিলোনিয়া স্মৃতি মন্দির সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চার মহিলাকে শুক্রবার বিকেলে আটক করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী । এরা হলেন ঝর্ণা রানী শীল (৭০), দুর্গা শীল (২০),বানী শীল (৩৫) ও সুস্মিতা শীল (১৪) এই চার জন । ধৃত চার জনের মধ্যে ঝর্ণা রানী শীল ও দুর্গা শীল ভারতীয় নাগরিক, অপরদিকে বানী শীল ও সুস্মিতা শীল বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানান বিলোনিয়া থানার ওসি, ৪৩ নং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমাডেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে আটককৃত দুই ভারতীয় মহিলার বাড়ি বিলোনিয়া মাইছড়া পশ্চিম কলাবাড়িয়া এলাকায়। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক মহিলার সাথে ছয় মাসের ও এক বছরের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়। গত শুক্রবার বিকেলে তাদের আটক করা হলেও ৪৩ নং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বিলোনিয়া থানার পুলিশ হাতে তুলে দেয় আইনী প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে। আটককৃতরা একদিকে মহিলা অপরদিকে তাদের সাথে ছয় মাসের ও এক বছরের শিশু সন্তান থাকার পরেও পুলিশের হাতে তুলে দিতে কেন দেরি হলো এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ? সুত্রে মারফত জানা যায় ৪৩ নং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দ্বারা তাদের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে ধৃত চার মহিলা । জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক ঝর্ণা রানী শীল সহ বানী শীল ও সুস্মিতা শীল বাংলাদেশ থেকে স্মৃতি মন্দির সংলগ্ন কাঁটাতার পার হয়ে ভারতে আসার সময় আটক করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা। তাদেরকে আনার জন্য দূর্গা রানী শীল স্মৃতি মন্দির সংলগ্ন এলাকাতে ছিল। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দূর্গা রানী শীলকেও আটক করে, জানা যায় ধৃত চার জন মহিলাকে আমজাদ নগর এলাকার বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে নিয়ে এসে শনিবার দুপুরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ ঝর্ণা রানী শীল, দুর্গা শীল, বাণী শীল এই তিন জন মহিলাকে বিলোনিয়া আদালতে সোপর্দ করে শনিবার দুপুর দুইটা নাগাদ। কিন্তু সুস্মিতা শীল নাবালিকা হওয়ার সুবাদে জুবিনাইল হোমে প্রেরণ করা হয় বলে জানান বিলোনিয়া থানার ওসি শিবু দে। এছাড়া তিনি আরো জানান পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।