গোমতী জেলা ভিত্তিক বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার উদয়পুর রাজর্ষি কলা ক্ষেত্রে। মঙ্গল বার গোমতী জেলা ভিত্তিক বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও উপর এক দিনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, উদয়পুরের পৌর পিতা শীতল মজুমদার সহ জেলা প্রশাসন, গোমতী জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা ছিলেন উপস্থিত। আলোচনা করতে গিয়ে অতিথিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহিলাদের সর্বশক্তি পরনে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করে চলছেন। তারা বলেন ভারতবর্ষে প্রথম হরিয়ানা রাজ্যে প্রথম বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি চালু করে কাজ শুরু করেছেন। পরবর্তী সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী 2015 সালে সারা দেশে মহিলাদের আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও কর্মসূচি হাতে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। মেয়ে সন্তান দেয় অবহেলা না করে তাদের যত্ন নেওয়ার উপর আলোচনা করতে গিয়ে বক্তারা বলেন কোন মতেই মেয়েরা আজ অবহেলিত নয়। দেশ গঠনে কি রাজ্য গঠনে মহিলারা পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে কাজ করে চলছে। কি শিক্ষা, কি স্বাস্থ্য, কি আরক্ষ দপ্তর সহ দেশে এবং রাজ্যে প্রশাসনে বহু মহিলারা কাজ করে চলছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন এখন আর তিন তালাক বলে কোন জাতির মহিলাদের তালাক দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি এনিমিয়া মুক্ত ভারত গড়ে তোলার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী কাজ শুরু করেছেন। আর এতে করে মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। মায়েদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মাতৃ বন্দনা যোজনা চালু করা হয়েছে। মেয়েদেরকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য সবাই সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এখন আর মেয়েরা পিছিয়ে নেই। সমাজে সকল ক্ষেত্রে মেয়েরা আজ সফলতার সঙ্গে কাজ করে চলছে। শুধুমাত্র একদিন আলোচনা সভা করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সমস্ত অংশের মানুষদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যাতে করে মেয়েরা আজ সফলতার সঙ্গে কাজ করে চলছে আগামী দিনেও মেয়েদেরকে সঠিকভাবে লালন পালন করে বড় করে তোলার দায়িত্ব মা বাবা সহ সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। পরবর্তী সময় মহাকুমা বিভিন্ন বিভাগ থেকে বিশেষ করে শিক্ষা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বেশ কয়েকজন ছাত্রী ও মহিলাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।