FEDCO-র কাছ থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবার দায়িত্ব কেড়ে নিল রাজ্য সরকার

2 Min Read
Planet Tripura

FEDCO-র কাছ থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবার দায়িত্ব কেড়ে নিল রাজ্য সরকার এখন থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান করবে TSECL.

রাজ্য সরকার থেকে রাজ্যের মোট দশটি বিদ্যুৎ মহকুমায় ১ল জুলাই ২০২০ইং থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের দায়িত্ব পায় বহিঃ রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা FEDCO. সে মোতাবেক সাব্রুম মহকুমার বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান করে আসছিল FEDCO. কিন্তু রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ থেকে FEDCO নামক বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থারকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পরিষেবার মান খারাপ থাকার কারনে। মহকুমার বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এই বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার বিরুদ্ধে নিম্নমানের পরিষেবা প্রদান সহ গ্রাহক হয়রানির বিস্তর অভিযোগ ছিল। বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় মহকুমার জনগণ খুশি হলেও FEDCO নামক বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের এখন‌ও ৮৩ দিনের বেতন বকেয়া রয়ে গেছে। FEDCO-র কাছ থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের দায়িত্ব কেড়ে নেয়ার খবর পেয়ে সংস্থায় কর্মরত কর্মীরা এসে ভিড় জমাতে থাকেন সাব্রুমের FEDCO অফিসে। শুধুমাত্র সাব্রুম ডিভিশনের অধীনে ৭০ জনের বেশি কর্মী রয়েছেন কিন্তু এই কর্মীদের বকেয়া বেতন পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীরা তাদের বকেয়া বেতন না পেয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন এবং তারা হিসাব করে দেখেন তারা এখনো সংস্থার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকারও বেশি পাওনা রয়ে গেছেন এছাড়াও সংস্থার পক্ষ থেকে নেওয়া গাড়ি ভাড়া বাবদ‌ও প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে FEDCO-র সাব্রুম ডিভিশনের সাব ডিভিশনাল ম্যানেজার সুকান্ত ত্রিপুরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কর্মীদের বকেয়ার বেতনের কথা স্বীকার করেন। এছাড়াও তিনি আরো জানান আজকে সকাল ১১:২০ নাগাদ মোবাইলে সংস্থার কাছ থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কপি এসে পৌঁছায় যার ফলে তিনি এখন নিজেও দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন যে উনার নিজের চাকরির কি হবে। এখন দেখার বিষয় এই বেসরকারি সংস্থার বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া বেতন যাতে তারা পান এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ দপ্তর কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং বিদ্যুৎ পরিষেবার মান ঠিক হয় কিনা।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version