একই রাতে রাজধানীতে দুই দোকানে নিশি কুটুম্বদের হানা

2 Min Read

শহর আগরতলার প্রানকেন্দ্রে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ছয়টি দোকানে হাত সাফাই করে বেহাল তবিয়তে দিন কাটাচ্ছেন নিশিকুটুম্বরা। ঘটনা রাজধানীর দশমী ঘাটস্থিত মহাবীর ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। পশ্চিম আগরতলা থানা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস, রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটারের দুরত্বে এই ধরনের চুরির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রায় ছয়টি দোকানে দুঃসাহসিক চুরি তাও গত দশ দিনে, এযেন পুলিশ প্রশাসনকে ওপেন চ্যালেঞ্জ । এখানেই শেষ নয় গতকাল রাতেরও ওই এলাকায় দুটি দোকানে হাত সাফাই করে যায় চোরের দল। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী বিষ্ণু দাস জানান, পশ্চিম থানাধীন দশমী ঘাট সংলগ্ন মহাবীর ক্লাব এলাকায় মুদিখানার দোকান ছিল তার । গতকাল রাতে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁর বড়ো ভাই ফোন করে জানিয়েছেন দোকানের দরজা খোলা রয়েছে। সাথে সাথে তিনি ছুটে গিয়ে দোকানে চুরি যাওয়ার বিষয়টি দেখতে পান। চোরের দল হানা নিয়ে নগদ প্রায় ৬ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে গেছে। তাঁর দাবি, ওই এলাকারই তিন যুবক চুরিকান্ডে জড়িত রয়েছে । নেশার সামগ্রীর টাকার জোগার করতে তাঁরা চুরি করে থাকেন। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে দশমী ঘাটস্থিত মহাবীর ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ছয়টি দোকানে দুঃসাহসিক চুরি করেছে তারা । এলাকাবাসীরা তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে বিভিন্ন নেশা সামগ্রী উদ্ধার করে। পরবর্তী সময়ে উত্তম মধ্যম দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন । বাস্তবে নেশায় ডুবে গেছে একাংশের যুব সম্প্রদায়। ফলে নেশার টাকার যোগান দিতে যেকোনো ধরনের অপরাধ করতে দ্বিধা বোধ করে না তারা। নেশার কড়াল গ্রাসে ডুবে শুরুতে ঘর থেকে চুরি করতে থাকে একটা পর্যায়ে যখন বাড়ি থেকে আর টাকার যোগান হয়না তখন এখানে সেখানে হাত মারতে শুরু করে তারা। ভোরে প্রাতভ্রমণে বেড়িয়ে বয়স্কা মহিলাদের দেখে দেখে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায়ও এই যুবকরাই জড়িয়ে পড়ছে। রাজ্যকে নেশমুক্ত করার যত উদ্যোগ গ্রহন করছে রাজ্য সরকার সহ পুলিশ প্রশাসন ও সচেতন মহল নেশাকারবারীরা ততই অভিনব পন্থা অবলম্বন করে নেশার সাম্রাজ্য বিস্তার করছে আর এসবের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে যুব সমাজ অপরাধ মুলক কাজে নিযুক্ত হচ্ছে।

TAGGED:
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version