বিশ্রামগঞ্জ সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার অফিসের সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকানে চুরি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিন গভীর রাতে আলমগীর হোসেন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকানে। আলমগীর হোসেন দীর্ঘ বহু বছর যাবত ব্যবসা করে আসছে তার দোকানে। তার দোকানটি একেবারে সিপাহী জলা পুলিশ সুপার অফিসের একেবারে বাউন্ডারি ঘেঁষা জাতীয় সড়কের পাশে। অন্যান্য দিনের মতোই আলমগীর হোসেন মঙ্গলবার দিন তার দোকানে ব্যবসা-বাণিজ্য শেষ করে দোকান ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে যায়। বুধবার দিন সকালবেলা দোকানে এসে দেখতে পান দোকানের তালা ভাঙ্গা। দোকান ঘরে ঢুকে দেখতে পান তার ঘরে মালপত্র কিছু নেই। এবং তার ক্যাশ বাক্স ভাঙ্গা। চিৎকার শুরু করে দেন এ অবস্থা দেখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং দেখতে পায় এই দৃশ্য। আলমগীর হোসেনের বাড়ি ও একেবারে বিশ্রামগঞ্জ আইটিআই কলেজের পাশে। আলমগীর হোসেনের দোকানের সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার অফিস এবং দোকান থেকে অল্প কয়েক হাত দূরত্বের মধ্যে বিশ্রামগঞ্জ থানা। এই হাই সিকিউরিটি জোনে কিভাবে হানা দিল চুরের দল?? সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না এলাকাবাসী সহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। সে জানায় গতকালকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে 30000 টাকার মালপত্র তুলেছিল দোকানে। এবং ক্যাশ বাক্সে ছিল প্রায় ৫০০০ টাকার মতো। মঙ্গলবার দিন গভীর রাতে চোরের দল দোকানের তালা ভেঙ্গে সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ বুধবার দিন দুপুর বেলা খবর পেয়ে আলমগীরের দোকানে ছুটে যায় এবং চোরের দল যে লোহার রড ফেলে দিয়েছিল সেই লোহার রডটি পুলিশ নিয়ে যায় থানায়।। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন একেবারে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানান দুর্গাপূজার আগে আর দোকানে সে মাল তুলতে পারবে না। কারণ টাকা পয়সা আর হাতে নেই। দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকালকে সমস্ত টাকা দিয়ে সে মালপত্র ক্রয় করেছিল দোকানে পুজোর দিনগুলিতে বেচা বিক্রি করবে। সব নিয়ে গিয়েছে চোরের দল। সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে আবেদন জানান আলমগীর যাতে করে এসপি সাহেব অন্ততপক্ষে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশকে। দিন দিন বিশ্রামগঞ্জ থানা এলাকায় বেরিয়ে চলেছে চুরি ছিনতাই। কয়েকদিন আগেও বিশ্রামগঞ্জ বাজারে এক বড় ব্যবসায়ীর দোকানে হানা দিয়ে চোরের দল নিয়ে যায় কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস। আজ পর্যন্ত বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ সেই ঘটনার কূলকিনারা করতে না করতেই ফের আবার একেবারে থানার নাকের ডগায় হানা দিল চুরের দল। অভিযোগ চুরি ছিনতাই রোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আগেই শুরু হয় বিশ্রামগঞ্জ থানা এলাকায় বাইক চুরি দোকানে চুরি সহ বিভিন্ন ধরনের চুরি কান্ড। অথচ বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ না পারছে চোর ধরতে না পারছে কোন ধরনের চুরি-কাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে।।