বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার কম থাকায় পরিক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি ২৮ ছাত্র ছাত্রীকে

2 Min Read

ছেলেমেয়েকে ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করা প্রত্যেক মা বাবার স্বপ্ন থাকে। ফলে প্রত্যেক অভিভাবকই নিজেদের সাধ্য মত ভালো স্কুলেই ছেলে মেয়েদের ভর্তি করান। বিদ্যালয়ে লেখাপরা করতে গেলে বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেই নিয়ম গুলি জেনেও কিছুসংখ্যক অভিবাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা অবহেলা করেন। পরবর্তী সময় কিছু হলে দোষারোপ শুরু করে বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে। এমন একটি চিত্র লক্ষ্য করা যায় শান্তিরবাজার মডেল দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয়ে। শুক্রবার বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেনীর পরিক্ষা ছিলো। একাদশ শ্রেনীতে মোট ১৪১ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। এরমধ্যে ২৮ জন ছাত্র ছাত্রীকে পরিক্ষার হলে বসতে দেওয়া হয়নি। এর কারন জানত চাইলে জানা যায় এই সকল ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিলো খুবই নগন্য। ছাত্র ছাত্রীরা দরজার বাইরে দারিয়ে পরিক্ষা দেবার জন্য সুযোগ খুঁজলেও বিদ্যালয় কতৃপক্ষ কোনো প্রকার সুযোগ দেননি। এই নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিনাক্ষী ত্রিপুরার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা ভর্তি হবার সময় থেকে বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ দিনে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে এবং সময়মতো বিদ্যালয়ে আসতে হবে। এনিয়ে শিক্ষক ও অভিবাবকদের নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনার অভিভাবকদের সাক্ষর রাখা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীদের অভিবাবকরা এই আলোচনায় আসেন নি। সকল ছাত্র ছাত্রীদের এই বিষয়ে অবগত করার পরেও ২৮ জন ছাত্র ছাত্রী সঠিকভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন বোধ করেনি। যার ফলে আজকের দিনে এই ছাত্র ছাত্রীরা পরিক্ষায় বসতে না পেরে শিক্ষক শিক্ষিকাদের দোষারোপ করতে শুরু করে। ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠে এসেছে কিছু সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিতির হার কম হয়েও নাকী তারা পরিক্ষায় বসতে পেরেছে। এইনিয়ে জানা যায় এই সকল ছাত্র ছাত্রীরা বছর বাঁচাও পক্রিয়ার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এই ছাত্র ছাত্রীরা পরিক্ষার কিছুদিন আগে ভর্তি হওয়ার ফলে তাদের উপস্থিতির হার কম। তাদের ভর্তির দিন থেকে আজকের দিনের পারসেন্টিজ হিসাব করে তাদেরকে পরিক্ষায় বসতে দিয়েছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। শান্তিরবাজার মডেল দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয় কতৃপক্ষের এইধরনের উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শুভবুদ্ধীমহল। আজকে শিক্ষার্থীরা পরিক্ষায় বসতে না পারায় ছাত্র ছাত্রীরা এবং উদের অভিবাবকরা কিছুটা জাগ্রত হবে এবং অভিবাবকরা উদের ছেলেমেয়েরা সঠিকভাবে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে নজর দেবেন। এতে করে ছাত্র ছাত্রীদের আগামীদিনের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে বলেও জানান প্রধান শিক্ষিকা।

 

TAGGED:
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version