যেখানে শুক্রবার থেকে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাসন্তী পূজা অর্থাৎ মাতৃ শক্তির আরাধনায় মগ্ন মানুষ সেখানে এই মাতৃ শক্তি পূজার প্রথম দিনেই আক্রান্ত আরেক মাতৃ শক্তি তাও আবার নিজের পুত্রবধূর দ্বারা। গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত পশ্চিম কাঞ্চনমালা ফুলবাগান সংলগ্ন এলাকার এক নং ওয়ার্ডের রঞ্জন সরকারের বড় ছেলে হংস সরকার বেশ কয়েক বছর আগে রাজধানী আগরতলা শহরের যোগেন্দ্রনগর এলাকার প্রবোধ দেবের মেয়ে পূরবী দেবকে বিয়ে করে। বিয়ের একই বাড়িতে স্বামী স্ত্রী দুজনেই আলাদাভাবে বসবাস করতে শুরু করে। বিয়ের পর থেকে হংস সরকার এবং তার স্ত্রী পূরবী দেব প্রায়ই রঞ্জন সরকার এবং উনার স্ত্রী দিপালী সরকারকে মানসিক নির্যাতন করতো।পুত্রবধূ পূরবী দেব একবার তার শাশুড়ি দিপালী সরকারের উপর আক্রমণ করেছিল হংস সরকারের ইশারায়। এই ঘটনা তখন থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পূরবী দেব তার স্বামী হংস সরকারের ইশারায় পুনরায় আবার শুক্রবার দুপুরে আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ শুরু করে এবং একসময় উত্তেজিত হয়ে পুত্রবধূ পূরবীদেব শাশুড়ি দিপালী সরকারের উপর আক্রমণ করে দিপালী সরকারকে আহত অবস্থায় ঘরে ফেলে রেখে পূরবী দেব বাবার বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে রঞ্জন সরকার কাজ থেকে বাড়ি ফিরে এই ঘটনা জানতে পারে এবং পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে এসে আহত দিপালী সরকারকে উদ্ধার করে হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহত শাশুড়ি দিপালী সরকার হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার রাতেই শশুর রঞ্জন সরকার পুত্রবধূ পূরবী দেবের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় লিখিত আকারে মামলা দায়ের করে। বারবার পুত্রবধূর দ্বারা শাশুড়ি আক্রান্তের ঘটনায় গোটা এলাকার মানুষ যেমন হতবাক পাশাপাশি আমতলী থানার পুলিশও হতবাক। অনেকেই বলছে পূরবী দেবের মত এই ধরনের পুত্রবধূ নিজের শাশুড়ির উপর আক্রমণ করে সভ্যসমাজকে কি বুঝাতে চাইছে। রঞ্জন সরকার শুক্রবার রাতে পুলিশকে বলতে শোনা গেছে এই কারণেই কি তিনি ছেলেকে ছোটবেলা থেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন এবং ছেলে বড় হওয়ার পর ধুমধাম করে বিয়ে করিয়েছেন! আজ এই দিন টা দেখার জন্যই কি তারা বেঁচে আছেন! অনেকেই বলছে হংস সরকার এবং তার স্ত্রী পূরবী দেবের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে সভ্য সমাজ লজ্জিত। তাই গোটা কাঞ্চনমালা এলাকার মানুষ হংস সরকার এবং তার স্ত্রী পূরবী দেবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে প্রশাসনের কাছে। দাবি জানিয়েছে প্রশাসন যেন তাদের এমন শাস্তির ব্যবস্থা করুক যাতে করে আর কোন বয়স্ক মা-বাবা তাদের পুত্র এবং পুত্রবধূর ধারা এভাবে আক্রান্ত হতে না হয়।