সংখ্যালঘু বখাটে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার এলাকার নাবালিকা মেয়েরা। এলাকায় উত্তেজনা।
বহিঃরাজ্য তথা কলকাতা মুর্শিদাবাদ থেকে এসে শ্রমিকের কাজ করছেন, আর প্রতিনিয়ত এই বখাটে শ্রমিকদের হাতে এলাকার নাবালিকা মেয়েদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে যাচ্ছে চার যুবক । আজ এলাকাবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে শ্লীলতাহানি থেকে রক্ষা পেল নাবালিকা এক মেয়ে। প্রতিরোধের মধ্যে চার জনের মধ্যে একজন পালাতে সক্ষম হলেও তিন যুবককে আটক করে এলাকাবাসীরা। এই শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকাল তিনটা নাগাদ, বিলোনিয়া মরা পুকুরপাড় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও শত শত এলাকাবাসী । প্রতিরোধের মুখে ঘটনাস্থল থেকে তিন যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিলোনিয়া থানাতে। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ইদুল হক, বাবলু শেখের বিরুদ্ধে বিলোনিয়া মহিলা থানাতে মামলা দায়ের করা হয় আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। জানা যায় প্রায় সময়ই ইদুল শেখ, বাবলু শেখ, রুস্তম শেখ ও মানির হোসেন এই চার যুবক এলাকার ছোট ছোট মেয়েদের দেখলে উত্ত্যক্ত করে , হাত ধরে টানাটানি, বাইকে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা,শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে নাবালিকা মেয়েদের এবং এলাকাবাসীর অভিযোগ। এতদিন ধরে বখাটে যুবকদের এই ধরনের আচরণ সবই মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছিল লোকলজ্জার ভয়ে। অভিযোগ মূলে এলাকার অভিভাবকের বিভিন্ন এদের সায়েস্তা করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কিছুতেই শোধরানো যায়নি,অবশেষে শনিবার বিকালে ধ্যৈয্যের বাঁধ ভেঙে যায় । পুকুরে স্নান করতে গিয়ে বারো বছরের এক নাবালিকাকে পুকুরের জলের মধ্যে জড়িয়েধরে টানাটানি করে ইদুল শেখ। সাথে ছিল বাবলু শেখ।টানাটানি করতেই নাবালিকা মেয়ের চিৎকার চেঁচামেচির পর ছুটে আসে এলাকার লোকজন। এরপর এলাকাবাসীরা ইদুল শেখ, বাবলু শেখ দুই যুবককে আটক করার পাশাপাশি ভাড়া বাড়িতে রুস্তম শেখ ও মানির হোসেন শেখের বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েরা যখন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করতে পারলেও মানির হোসেন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযুক্ত তিন যুবককে উত্তর মাধ্যম দিয়ে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। জানা যায় , কলকাতা মুর্শিদাবাদ থেকে বিলোনিয়া মরা পুকুর পাড়ে ভাড়া থাকে এই বখাটে শ্রমিক। পেশায় রাজমিস্ত্রী কাজ করে । এলাকাবাসীরা জানায় দীর্ঘ দুই বছর ধরে এরা মরা পুকুরপাড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বহু অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে, তাদের যন্ত্রনায় এলাকার ছোট ছোট মেয়েরা বাড়ি থেকে বের হতে পারে না, স্নান করতে পারে না। রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় মেয়েদের কুকর্মের প্রস্তাব সহ প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করার পাশাপাশি গায়ে হাত দিতেও কুন্টা বোধ করতো না বলে অভিযোগ । পরবর্তী সময় এলাকাবাসীরা তল্লাশি চালিয়ে এদের সহযোগী আরো তিন সংখ্যালঘু যুবককে আটক করে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। নাবালিকার উপর এই ধরনের নেক্কারজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন দেখার বিষয় বিলোনিয়া পুলিশ প্রশাসন এই ধরনের বখাটে যুবকদের বিরুদ্ধে কি ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।