দেশের ‘বৃহত্তম’ মাওবাদী-দমন অভিযান! ছত্তীসগঢ়ে ১০০০ মাওবাদীকে ঘিরল ২০ হাজার নিরাপত্তাকর্মীর দল
ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে ১,০০০ মাওবাদীকে নিকেশ করতে এলাকা ঘিরে ফেললেন তিন রাজ্যের ২০,০০০-এরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী। সূত্রের খবর, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ এই অভিযানই সম্ভবত দেশের সর্ববৃহৎ মাওবাদী-বিরোধী অভিযান। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পাঁচ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। বিজাপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়়ে চলছে অভিযান।গত ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলমান এই অভিযানটি গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল। নিরাপত্তাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, বিজাপুরের জঙ্গলে আত্মগোপন করে রয়েছেন ‘মোস্ট-ওয়ান্টেড মাওবাদী কমান্ডার হিদমা, ব্যাটালিয়নের প্রধান দেবা-সহ শীর্ষ মাওবাদী নেতারা। এর পরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), বস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং তিন রাজ্যের পুলিশের একাধিক দল। এ ছাড়া, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং সিআরপিএফের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন (কোবরা)-সহ বিভিন্ন ইউনিটের নিরাপত্তাকর্মীরাও রয়েছেন এই অভিযানে।স্থানীয় সূত্রে খবর, মাওবাদীদের পালানোর সমস্ত পথ বন্ধ করতে ছত্তীসগঢ়-তেলঙ্গানা সীমানায় অবস্থিত কারেগুট্টা পাহাড় ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ঘন বন এবং পাহাড়ের সারি দিয়ে ঘেরা এই এলাকাটি মাওবাদীদের ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের মূল ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। দিনকয়েক আগেই এই এলাকায় আইইডি হামলার হুমকি দিয়ে গ্রামবাসীদের পাহাড়ি এলাকায় প্রবেশের বিষয়ে সতর্ক করেছিল মাওবাদীরা। এ বার সেখানেই চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান।দেশ মাওবাদী মুক্ত করার জন্য ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর থেকেই কড়া হাতে মাওবাদী দমনে নেমেছে ছত্তীসগঢ়-সহ বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। দেশ জুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত শুধু ছত্তীসগঢ়েই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫০ জন মাওবাদীর। একই ভাবে ঝাড়খণ্ডেও মাওবাদী দমনে কড়া পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলায় সিআরপিএফের কোবরা কমান্ডোদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক শীর্ষনেতা-সহ আট মাওবাদী
Leave a Comment