চুরাইবাড়ি শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা নেই ।

3 Min Read

পাঁচ শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের নেই রাস্তা।রাস্তার দাবিতে স্হানীয় পঞ্চায়েত,ব্লক এমনকি সিএম হেল্প লাইনে আবেদন জানিয়েও হয়নি কোন সুরাহা।অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর জেলার ত্রিপুরা অসম সীমান্তের পূর্বে চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক এবং দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। ত্রিপুরা উত্তর জেলার ত্রিপুরা আসাম সীমান্তের পূর্ব চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক এবং দুই নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার সাধীনতার পর থেকেই রাস্তা হীনতায় ভুগছেন। তাদের গ্রামে গাড়ী যাওয়াতো দূরের কথা পায়ে হাঁটার রাস্তা টুকু নেই।রেল লাইন ধরেই তাদের যাতায়াত।রাস্তার দাবিতে একাধিকবার স্হানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ জানিয়েছে,রেলের জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা করে দিতে রয়েছে নানা জটিলতা।স্হানীয়দের দাবি, পাশের গ্রামে রেলের জায়গা দিয়ে রাস্তা তৈরি হলেও তাদের গ্রাম ব্যতিক্রম। এদিকে স্হানীয় গোপাল কৃষ্ণ দেব জানান,বাড়ি থেকে বেরোনোর কোন রাস্তা নেই। গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে কিংবা গ্রামে আগুন লাগলে রাস্তা না থাকায় গ্রামে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না,তাতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাম বাসীকে। দুবছর পূর্বে তিনি ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার পর গ্রামবাসী তাকে কাঁধে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর তোড়জোড় চলছে,আর ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হলে বাড়ি থেকে বেরোনো দুস্কর হয়ে দাঁড়াবে।তিনি জানান, তাঁদের গ্রাম হয়ে আসামের শ্রীভূমি জেলার মানুষ রেল লাইনের উপর দিয়ে আসা যাওয়া করেন।

প্রীতি দেব নামের এক মহিলা জানান, রাস্তা না থাকায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে স্কুলে যেতে ও বাজার হাট করতে অনেক অসুবিধা হয়। তিনি জানান, তাঁরা তো নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তাহলে কেন তাদের যাতায়াতের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার ও রেল মন্ত্রী যেন রেল লাইনের পাশ দিয়ে ন্যূনতম যাতায়াতের একটি রাস্তা তৈরি করে দেন।

অভিজিৎ দেব নামের এক যুবক জানান, স্বাধীনতার সাতাত্তর বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা কমেনি।বর্তমানে তারা রেল লাইনের উপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়েই যাতায়াত করেন। কখনো কখনো ট্রেন চলাচলের ভয়ে কচিকাঁচা ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে পাঠান না গ্রামবাসী। তাছাড়া রাস্তা না থাকার কারনে সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরে যেতে হয় তাদের। তিনি সিএম হেল্প লাইনে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।তিনি বলেন,রাত পোহালেই মানুষের দৈনন্দিন চলাচলের জন্য রাস্তার অত্যন্ত প্রয়োজন।তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যেশ্যে আবেদন জানিয়ে বলেন, গ্রামের মানুষের জন্য পায়ে হাঁটার একটি রাস্তার ব্যবস্থা যেন করে দেওয়া হয়।
এখন সরকার বাহাদুর ওই পাঁচ শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করতে কতটুকু মানবিক হয় সেটাই দেখার বিষয়।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version