ওয়াকফ সংশোধনী জনজাগরণ অভিযানের অঙ্গ হিসাবে গরীবদের অধিকার সুরক্ষা গরিবদের মিলবে এই স্লোগানকে সামনে রেখে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয় আগরতলা রবীন্দ্র ভবনে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা, বিজেপি প্রদের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী, সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, সহ অন্যান্যরা। এই সময়ের মধ্যে গোটা দেশজুড়ে ওয়াকফ বিল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে এই বিল নিয়ে নানান প্রকারের অভিযান থেকে শুরু করে কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই আবহের মধ্যে দাঁড়িয়ে আজ রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনে বিজেপি দলের উদ্যোগে ওয়াকফ সংশোধনী জন জাগরণ অভিযানের অঙ্গ হিসেবে এক বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালায় গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি দলের সংখ্যালঘু মোর্চার নেতৃত্ব এবং সদস্যদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা, লোকসভার সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, দলের অন্যতম শীর্ষ প্রদেশ নেতৃত্ব অমিত রক্ষিত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রদেশ সভাপতি কিংবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, সবাই প্রায় এক সুরে দাবি করেন বিজেপি পরিচালিত সরকার গরিব মুসলমানদের অধিকার সুরক্ষা করার জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এদিকে পৃথকভাবে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব সংশোধনী বিল এর পক্ষে সওয়াল করেন। শ্রীদেব দাবি করেন এই ওয়াকফ বিল প্রকৃতপক্ষে গরিব মুসলমান যারা রয়েছেন তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে। পাশাপাশি বিপ্লব কুমার দেব দাবি করেন এই ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রকৃত অর্থে গরিব মুসলমানদের কাজে লাগবে এবং যে সমস্ত মুসলমানেরা রাজনীতি করতেন বা রাজনীতির জন্য অন্যদের ব্যবহার করতেন তাদের মাথা ব্যাথার কারণ। স্বাভাবিকভাবেই বিপ্লব কুমার দেব এই একই ইস্যুতে কংগ্রেস সহ তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে দাবি করেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কংগ্রেস তৃণমূল চিরকাল ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করেছে।
একই রকম ভাবে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করতে গিয়ে দাবি করেন শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে অনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানদের অনুপ্রবেশ গড়তে সহায়তা করেছে তৃণমূল সরকার যার ফল বর্তমান সহ আগামী প্রজন্ম অবশ্যই ভুগবে বলে বিজেপি প্রদেশ সভাপতি দাবি করেন।