মন্দিরের অলংকার নিয়ে বিস্ফোরক বিপ্লব দেব

2 Min Read
মিথ্যার বেসাতি চলবে না’ — বিপ্লব দেবকে একহাত নিলেন রতন ভৌমিক | Tripura News

গত ১০ই এপ্রিল বামুটিয়াতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান লোকসভার সংসদ বিপ্লব দেব বলেন তিনি যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তখন নাকি উদয়পুরের ৫১ পীঠের অন্যতম পীঠস্থান মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের অলংকার ছিল এগুলি নাকি সব সিপিএমের নিয়ে গেছে। এই প্রেক্ষিতে গত কিছুদিন ধরে রাজ্যে মধ্যে সিপিএমের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। রবিবার দুপুরে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী রতন ভৌমিক সাংবাদিকদের সামনে বলেন বর্তমান সংসদ বিপ্লব দেব মায়ের মন্দিরে অলংকার নিয়ে যা বলেছেন তার তীব্র নিন্দা তিনি জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রতন ভৌমিক। তিনি বলেন বিপ্লব দেব গত ১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তিনি যে দান বাক্স খুলেছেন প্রথমত দান বাক্স খোলার এক্তিয়ার নেই বিপ্লব বাবু কারণ হিসেবে রতন ভৌমিক বলেন দান বাক্স খোলার এক্তিয়ার রয়েছে জেলাশাসকের অথবা জেলা শাসকের অনুমোদন প্রাপ্ত কোন আধিকারিকের। প্রশ্ন হল বিপ্লব বাবু কিভাবে মায়ের দান বাক্স দিকে খুললেন এত এক বিশাল প্রশ্ন। রতন বাবু আরো বলেন বামফ্রন্ট সরকার যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততদিন ধর্মীয় কোন অনুষ্ঠানে শাসক দলের কোন কর্মী বা নেতারা এসব কাজে কোনদিন যুক্ত ছিল না একমাত্র দেওয়ালী মেলাকে কেন্দ্র করে যে কমিটি গঠন করা হতো সেখানেও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা, বিভিন্ন এনজিও সমাজ সেবামূলক কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তারা যেমন থাকতেন তেমনি সরকারি আধিকারিক ও এই মেলাকে সফল করার জন্য কমিটি গঠন করা হতো। রতন বাবু ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন বর্তমান বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সরকারি কোন নিয়মকানুন মানে না। রতন বাবু বলেন মন্দিরের নামে কোন ভক্তবৃত্ত কোন কিছু দান করলে তা দানবাক্সেই থাকে আর এক্তিয়ারে থাকে জেলা শাসক। আর সমস্ত জিনিসপত্র থাকে ট্রেজারিতে।। তিনি বলেন বিপ্লব দেব যে সমস্ত মিথ্যা কথা বলছে রাজ্যের জনগণ সুবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বিপ্লব দেবের কথা বিশ্বাস করবেন না। কেন বিপ্লব বাবুকে চার বছরের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর পর থেকে সরে যেতে হয়েছিল তার কারণ আজও রাজ্য বাঁশি জানেনা। এই সম্পর্কে তিনি আগে বলুক কেন তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিথ্যার বেসাতি এ রাজ্যের জনগণ মেনে নেবে না বলে রতন ভৌমিক সাংবাদিকদের সামনে এই কথাগুলো তুলে ধরেন।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version