নতুন মন্ডল সভাপতি হবার পর কৈলাসহরে শাসক বিজেপি দলের আরও এক গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে যাচ্ছে। বিজেপি দল পরিচালিত ধলিয়াকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপ প্রধান বিডিও-এর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছে। নতুন মন্ডল সভাপতি হবার পর দিনের পর দিন বিজেপি দলের সংগঠন কৈলাসহরে একেবারেই তলানিতে চলে গেছে। উল্লেখ্য, কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনস্হ এগারো আসন বিশিষ্ট ধলিয়ারকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপি দলের দখলে ছিলো। বিগত ২০২৪সালের গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে ধলিয়ারকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের এগারো আসনের মধ্যে বিজেপি দল সাত আসনে এবং কংগ্রেস দল চার আসনে জয়লাভ করেছিলো। ভোটে বিজেপি দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা জয়লাভ করার পর বিজেপি দলের পঞ্চায়েত সদস্যা রেবা রানী নম বিশ্বাসকে প্রধান এবং অপর পঞ্চায়েত সদস্য তোফাইল আহমেদকে উপ প্রধান করা হয়েছিলো। কিছুদিন পঞ্চায়েত ঠিকঠাক ভাবে চললেও বিগত কয়েকমাস পূর্বে পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপ প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তোলে খোদ বিজেপি দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। দুর্নীতির পাশাপাশি স্বদলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ এবং পঞ্চায়েত অফিসে সবার সাথে আলাপ আলোচনা না করেই প্রধান এবং উপ প্রধান নিজেরাই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতেন বলেও অভিযোগ উঠেছিলো। স্থানীয় বিজেপি দলের নেতাদের জানানোর পরও কেউ কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের তেসরা মার্চ কংগ্রেস দলের চার জন এবং বিজেপি দলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য মিলে মোট ছয়জন পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপ প্রধানের বিরুদ্ধে ঊনকোটি জেলার পঞ্চায়েত অফিসার ডেভিড হালামের নিকট লিখিত ভাবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলো।সেই মোতাবেক জেলার পঞ্চায়েত অফিসার ডেভিড হালাম বিগত এক সপ্তাহ পূর্বে একটি নোটিশ জারী করে জানিয়ে দেন যে, আগামী আট এপ্রিল ধলিয়ারকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান এবং উপ প্রধানের অনাস্থা ভোট অনুস্টিত হবে এবং সেইদিন এগারো জন পঞ্চায়েত সদস্যই যেন উপস্থিত থাকেন। আট এপ্রিলের অনাস্থা ভোটের পূর্বে প্রধান এবং উপ প্রধান পাঁচ এপ্রিল শনিবার বিকেলে গৌরনগর ব্লকের বিডিও নবারুন চক্রবর্তীর কাছে লিখিত ভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেয়। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে গৌরনগর ব্লকের বিডিও নবারুন চক্রবর্তী সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, প্রধান এবং উপ প্রধান উনারা নিজেই এসে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে এবং উনাদের ব্যাক্তিগত কারনে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে পদত্যাগপত্রে লিখা রয়েছে বলেও বিডিও জানান
সারা রাজ্যের প্রতিটি মন্ডলের সাথে কৈলাসহরেও নতুন মন্ডল সভাপতি নিয়োগ করেছিলো দল। কিন্তু নতুন মন্ডল সভাপতি হবার পর থেকে কৈলাসহর মন্ডলের অধীনে থাকা একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দলের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। শহর উত্তরাঞ্চল এলাকায় সংগঠন একেবারেই তলানিতে চলে গেছে বলে অনেকেরই অভিমত।