দর্পণ বিসর্জন ও রাষ্ট্রীয় সেলামির মধ্য দিয়ে আগরতলা দুর্গা বাড়িতে দশমীর পূজো সম্পূর্ণ
আগরতলা দুর্গা বাড়িতে সোমবার ভোরবেলা দেবী দুর্গার দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে দশমীর পূজা সম্পূর্ণ হয়। রাজকীয় ঐতিহ্য মেনে অনুষ্ঠিত হয় এই বিশেষ আচার। দর্পণ বিসর্জনের পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয় সেলামি প্রদান অনুষ্ঠান, যা ছিল চোখ জুড়ানো এক দৃশ্য।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিপুল উৎসাহ ও ভক্তির সাথে দুর্গা পূজার দশমী পালিত হয় আগরতলা দুর্গা বাড়িতে। রাজপরিবারের সদস্যরা, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং ভক্তদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় সেলামি দেওয়া হয় দেবী দুর্গাকে, যা এই পূজার এক বিশেষ আকর্ষণ।
দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে প্রতীকীভাবে দেবী দুর্গার গমন সম্পন্ন হয়, আর এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় এবারের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। ভক্তরা চোখে জল আর কণ্ঠে “আশ্বিনে আবার এসো মা” ধ্বনি তুলে বিদায় জানান দেবীকে।
দর্পণ বিসর্জন ও রাষ্ট্রীয় সেলামির মধ্য দিয়ে দশমী পূজো সম্পূর্ণ হল আগরতলা দুর্গা বাড়িতে। বিশুদ্ধ হিন্দু পঞ্জিকা মতে শেষ হয়েছে বাসন্তী পূজা, অর্থাৎ আজ হচ্ছে দশমী। প্রতিবারের মতো এবারও রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু আগরতলার দুর্গাবাড়ির বাসন্তী পূজা ঘিরে প্রত্যেকদিন ব্যাপক অংশের ধর্মীয় অনুরাগীদের অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়েছে।আজ দশমীর দিনে দর্পণ বিসর্জন সহ রাষ্ট্রীয় সেলামির মধ্য দিয়ে প্রথা অনুযায়ী দশমী পূজা সম্পন্ন হয়েছে আগরতলার দুর্গা বাড়িতে। পাশাপাশি দূর্গাবাড়ির রাজ পুরোহিত দাবি করেছেন প্রথা অনুযায়ী সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমস্ত প্রকারের ধর্মীয় আচরণের মধ্য দিয়ে বিসর্জনের গোটা পর্ব সম্পন্ন করা হবে।ভক্তদের আন্তরিকতা ও অংশগ্রহণে এবছরের পূজাও অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন প্রতিবছর জগত সংসারের মঙ্গল কামনায় দুর্গা বাড়িসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই বাসন্তী পূজা আয়োজন করা হয় তবে দুর্গা বাড়ির এই পূজা আয়োজন রাজ পরিবারের সাথে চিরাচরিতভাবে সম্পর্কযুক্ত বলে স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।