বিলোনিয়ায় BSF কর্মীদের বর্বরতা: আক্রান্ত যুবক হাসপাতালে

4 Min Read
বিলোনিয়ায় BSF কর্মীদের বর্বরতা: আক্রান্ত যুবক হাসপাতালে | Brutality of BSF personnel in Belonia News

এক গুচ্ছ অভিযোগ বিলোনিয়া ৪৩ নং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ব্যাটালিয়ানের বিরুদ্ধে ।

মদমত্ত অবস্থায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কর্মীদের তান্ডব লীলা, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ সাংবাদিকদের। কি চলছে এই সব বিলোনিয়ায়। একদিকে বাংলাদেশী প্রবেশ কে ঠেকাতে পারছে না। অন্য্ দিকে পাচারকারীদের সাথে জড়িত। অন্য্ দিকে পাচার বাণিজ্যের কথা টের পেতেই অপহরণ স্থানীয় যুবককে। বডার ছেড়ে একেবারে রাস্তায় মদমত্ত অবস্থায় তান্ডব লীলা ৪৩ নং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর। এদের মধ্যে দুই জন মহিলাও আছে একজনের নাম রিয়া দত্ত অপরজনের নাম জানা যায়নি। এই মহিলা দুই বিএসএফের কনস্টেবল।গত সোমবার রাতে গিরিধারী চার নং ব্রীজ এলাকা থেকে এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করলো সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা। এই বাহিনীরা একেবারে মুল রাস্তায় এসে দাদাগিরি পার করে একেবারে অপহরণকারী হয়ে গেল অলক সাহা নামে এক যুবককে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে উঠিয়ে নেওয়ার পর। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবার সহ এলাকার লোকজন ছুটে এসে অলক সাহার খোঁজ নিতেই হুমকি প্রদর্শন করে বিএসএফ জওয়ানরা। তখনো পরিবারের লোকজন জানে না অলককে কোথায় নিয়ে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে অরুণ সিং তুমার ৪৩ নং বিএসএফের হেড কনস্টেবল সহ আরো কিছু বিএসএফ জওয়ান মদমত্ত অবস্থায় এসে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের হুমকি ও অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ গুলি করে হত্যার হুমকি। মদমত্ত বিএসএফের তান্ডব লীলা ক্যামেরা বন্দী করতে গেলে, ক্যামেরাতে হাত ও ছিনতাই করে নেওয়ার চেষ্টা চালায় জওয়ানরা। এই দিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে অলকের খোঁজ নিতে চাইলেও পুলিশকেও জানাতে চায় নি। অবশেষে এলাকার লোকজন ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের চাপে পড়ে জানায় অলককে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ বিএসএফের কনস্টেবল নালম লোকনাথ ও রিয়া দত্ত সহ আরো কয়েকজন মিলে কাঁটা তার ছেড়ে গিরিধারী রাস্তাতে এসে বাইক সহ অলককে অপহরণ করে লাথি ঘুসি সহ লাঠি দিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ । এখানে শেষ নয় অপহৃত যুবক অলককে ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে চলে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার । এই মারধরের ফলে অলক সাহা সারা শরীর লাল হয়ে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয় । ঘটনা জানাজানি হতেই বিএসএফ জওয়ানরা পুলিশের হাতে তুলে দেয় অলক সাহাকে।বিলোনিয়া হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয়। এই অলক সাহা বর্তমানে প্রচন্ড শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছে। তবে কেন অলক সাহাকে অপহরণ ও মারধর এই বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি অপহরণ কারী বিএসএফ জওয়ানরা। তবে জানা যায় অলক সাহার কাছ থেকে নাকি লাল সুরা চেয়েছিল ঐ দিন কাটা তারে দায়িত্বরত জওয়ানরা। অস্বীকার করাতেই এই অপহরণ ও মারধর। এখন প্রশ্ন হলো অলক সাহা যদি পাচারকারী হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকে তাহলে কেন লালসুরা বোতল চেয়েছিল । তাহলে কি ঘুষ চেয়েছিল নাকি অলক সাহার সাথে বিএসএফের গোপন লেনদেন রয়েছে , তা না হলে হঠাৎ কেন অলককে অপহরণ করতে হলো সেটাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই দিকে বড়ো বড়ো রাঘব বোয়াল যারা পাচার সাম্রাজ্য বিস্তার করে আছে নাসির মিয়া, শুকলাল মিয়া ও মিঠু বৈদ্য তাদেরকে কেন বিএসএফ জওয়ানরা জালে তুলছে না। অথচ এদের নামের লিস্ট বিএসএফের কাছে থাকা সত্ত্বেও বিএসএফ জওয়ানরা লাল নোটের কচকচানিতে একেবারে বেহুঁশ জওয়নরা এমনই অভিযোগ । তাই মিঠু বৈদ্যের মতো রাঘব বোয়ালদের ছাড় দিয়ে, চুনোপুঁটিদের জালে তুলে এই ৪৩ নং বিএসএফ জওয়ানরা বাহবা কুঁড়াতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version