বৈদ্যতিক স্মার্ট মিটারে জীবন বিপর্ন্ন সিপাহীজলা বৈদ্যতিক মিটার রিডারদের

বৈদ্যতিক স্মার্ট মিটারের কারণে ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত সিপাহিজলার বৈদ্যতিক মিটার রিডাররা

3 Min Read

বিকল্প কাজের দাবিতে সিপাহীজলা জেলা বিদ্যুৎ সার্কেলের নিকট মিটার রিডারদের আবেদন

বিকল্প কাজের দাবিতে সিপাহী জলা জেলার সমস্ত মিটার রিডার রা একত্রিত হয়ে মঙ্গলবার দিন বেলা বারোটায় সিপাহীজলা জেলা বিদ্যুৎ সার্কেল অফিসে গিয়ে এডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার প্রদীপ সূত্রধরের কাছে বিকল্প কাজের দাবি জানান। সিপাহীজলা জেলায় রয়েছে 58 জন মিটার রিডার। তারা প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের বিল করেন। যার জন্য নিগম থেকে তাদেরকে প্রতি বাড়ী বিল পিছু দেওয়া হয় ৬ টাকা করে। কারোর আওতায় রয়েছে পাঁচশো বাড়ি কারোর আওতায় রয়েছে ৬০০ বাড়ি এবং কারোর আওতায় রয়েছে ৭০০ বাড়ি। এভাবেই দীর্ঘ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর যাবৎ তারা বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ বিল করে প্রতিপালন করছে সংসার। এই কাজটাই তাদের একমাত্র ভরসা। এই কাজ করে বৃদ্ধ মা বাবা স্ত্রী সন্তান নিয়ে চলছে তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ করে টেকনো ইন্ডিয়া নামের একটি কোম্পানি সিপাহীজলা জেলায় সার্ভে করছে স্মার্ট মিটারের। অতি দ্রুত হয়তো নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর মাসেই সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বাড়িতে বসানো হবে স্মার্ট মিটার। যার ফলে জনগণ অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পে করতে পারবে এবং প্রিপেইড রিচার্জ করে নিতে পারবেন। দরকার হবে না মিটার রিডারদের। ফলে পরিবার সংসার নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। এবং অস্তিত্ব সংকটের মুখে মিটার রিডারদের। কি হবে তাদের?? কিভাবে চলবে তাদের সংসার?? কিছুই ভেবে উঠতে পারছে না তারা। কারণ বিদ্যুতের বিল করতে করতে তাদের বয়স কারোর হয়ে গিয়েছে পঞ্চাশ কারোর আবার পঞ্চাশের উপরে। যার ফলে এই বয়সে তারা অন্য কোন কাজ আর করতে পারবে না। মৃত্যু ছাড়া তাদের নেই কোন গতি। এই ৫৮ জনের সঙ্গে রয়েছে প্রায় 300 জন মানুষের পেটের যোগাযোগ। প্রত্যেকটি পরিবারে পাঁচজন করে ধরলেও হয়ে যায় 300 জন। স্মার্ট মিটার চালু হয়ে গেলে মিটার রিডারদের পেটে লাথি পড়বে তাদের থাকবে না কোন আর কাজ। তাই বিকল্প কাজের দাবিতে সিপাহীজলা জেলা বিদ্যুৎ সার্কেল অফিসার অর্থাৎ এজিএম প্রদীপ সূত্রধরের কাছে মঙ্গলবার দিন তারা দাবি জানান যাতে করে তাদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা হয়। বিদ্যুৎ সার্কেল অফিস থেকে বের হয়ে হাত জোড় করে রাজ্যের মানবদরদী মুখ্যমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান 58 জন মিটার রিডার যাতে করে সরকার তাদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এজিএম বলেন তিনি বিষয়টি নিগমের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়ে দেবেন। ভীষণভাবে চিন্তিত সিপাহীজলা জেলার এই ৫৮ জন মিটার রিডার। খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version