জনসচেতনতা উদ্যোগ গ্রহণ না করে, জরিমানা আদায় একমাত্র পথ হিসাবে বেছে নিয়েছে জেলা তামাত নিয়ন্ত্রণ সেল।
সচেতনতা মুলক কোন কর্মসুচি নেই জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের । জনসচেতনতার উপর একটি কর্মসুচির হয়েছে কিনা কারোর জানা নেই । দক্ষিণ জেলাতে যে একটি তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল আছে সেই বিষয়েও আজ অব্দি কারো জানা আছে কিনা সেটাও বলাবাহুল্য । হঠাৎ ঝড়ের মতো উদয় হয়ে অভিযানে নামে আবার ঘুমিয়ে যায় এই সেলের কর্মীরা। ঝড়ের মতো অভিযানে নেমে কিছু টাকা ফাইন করে ব্যাবসায়ীদের কে জাগ্ৰত করে দেয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এখানো জাগ্ৰত আছে । দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকার পর শরীরের অলসতা কাটানোর পর আজো তাই হলো ,আমফানের মতো জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের অভিযান। বনকর বাজার থেকে শুরু করে বিলোনিয়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ের আশপাশের দোকানে এই অভিযান চালানো হয় শুক্রবার সাড়ে তিনটা নাগাদ। বাজার ও বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রতিটি দোকানে তামাক জাতীয় দ্রব্য জিনিস আছে কিনা খতিয়ে পান গুটকা বিক্রি হচ্ছে কিনা বা কেউ খাচ্ছে কিনা, এ বিষয়ে খতিয়ে দেখেন ইন্সপেক্টিং অফিসার অফ ড্রাগ আদিত্য প্রকাশ চাকমা ও ন্যাশনাল টোবাকো কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট অরিজিৎ দাস । এছাড়া এই অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন বিলোনিয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর সহ পুলিশ কর্মীরা । তামাক আইনের ধারা ৪ অর্থাৎ পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ, তামাক আইনের ৬(এ)অর্থাৎ আঠারো বছরের কম বয়সী যেকোনো ব্যক্তির কাছে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ এবং ধারা ৬(বি) অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধকরার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ইন্সপেক্টিং অফিসার অফ ড্রাগ আদিত্য প্রকাশ চাকমা । অভিযানে COTPA 2003 এর ধারা 6(B) এর অধীনে ৮ দোকানদারকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী দিনেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায়। সাধারণ জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের একটাই বক্তব্য সরকার আগে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করুক তারপর না মানা হলে জরিমানা আদায় করুক।