সি পি আই এমের দুষ্কৃতীদের আক্রমণে স্মৃতি শক্তি হারিয়েছেন এক বিজেপি কর্মী!

3 Min Read
সি পি আই এমের দুষ্কৃতীদের আক্রমণে স্মৃতি শক্তি হারিয়েছেন এক বিজেপি কর্মী ! সোনামুড়া কাঠালিয়া

সিপি আই এমের দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আহত হয়ে স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে বিজেপি কর্মী! সোনামুড়া থানা হয় মামলা সাতজনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে দুই অভিযুক্ত কে আটক করে সোনামুড়া থানার পুলিশ। কিন্তু বাকি অভিযুক্তদেরকে ধরতে ব্যর্থ সোনামুড়া থানার পুলিশ।এর পেছনে পুলিশের বিরুদ্ধে নানান সন্দেহ করছে আক্রমণে আহত পরিবার। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ১২ আগস্ট কাঠালিয়া আরডি ব্লকের অন্তর্গত কালাপানিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা বিজিবি সাধারণ কর্মী শামসুমিয়া ওর কাকাতো ভাই উরমাই বাজার থেকে সবজি ক্রয় করে করে, বাড়ি ফেরার পথে সিপিআইএমের দুষ্কৃতিকারীরা এই দুই ভাইয়ের উপর এলোপাথাড়ি আক্রমণ করতে থাকে। আক্রমণের কারণ তারা নাকি সিপিএমকে ভোট দেইনি। এ কথা বলে দা ও রড দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে। আক্রমণে আহত বিজিবি কর্মী শামসুমিয়া ও তা কাকাতো ভাই চিৎকার চেঁচামি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা শোচনীয় হওয়া আগরতলা জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। আগরতলা জিবি হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলে এখানে তাদের চিকিৎসা হবে না, তাদেরকে উন্নত চিকিৎসা করার জন্য ত্রিপুরার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এই বিষয়ে আক্রান্তের পরিবার সোনামুড়া থানা সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে দুজন অভিযুক্তকে সোনামুড়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।বাকি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন এলাকার সালিশি সভা বলে থাকে তাদের চিকিৎসার জন্য যত টাকা প্রয়োজন তারা সব টাকা খরচ করবে এবং আক্রমণে আহত তাদের কাছ থেকে আধার কার্ড ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘ ২৪ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল যেসব অভিযুক্তরা কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এবং এ ব্যাপারে তাদের কোন হেলদুল নেই জানালো আক্রমণে আহত ব্যক্তিরা। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, সিপিআইএমের এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে সামসু মিয়ার কাকাতো ভাই স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে, সে ঠিক করে কথা বলতে পারছে না। অথচ পরিবার দুটি খুব অসহায়। তারা যে উন্নত চিকিৎসা করবে সে সামর্থ্য তাদের কাছে নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এত বড় ঘটনার পর সোনামুড়া থানা মামলা হওয়ার পরেও কেন পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না। এর পেছনে বুদ্ধিজীবী অংশের লোক অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছে মনে করছে। অবশেষে আজকে আহত সামসু মিয়া সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তবে অভিযুক্ত সাত জনের মধ্যে তিনজন সরকারি কর্মচারীও রয়েছে। তবে এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দুষ্কৃতিকারীরা ভারতীয় জনতা পার্টির কোন একটি সংগঠনের বড় দায়িত্ব পাওয়া আত্মীয় বলে পার পেয়ে যাচ্ছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version