শারদোৎসব আসন্ন তার আগে মানুষের মধ্যে এখন চরম ব্যাস্ততা। দোকানপাট আফিস আদালত থেকে শুরু করে বাড়ি ঘরেও এখন মায়েরা বোনেরা ব্যস্ত গৃ্হস্থালির কাজ নিয়ে। বাজার গুলি জমে উঠছে প্রতিনিয়ত। আর একই ভাবে চোর ছিনতাইবাজদের মধ্যেও ব্যাস্ততা চরমে। রাজধানী সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন হাত সাফাই করছে চোরের দল। পুলিশ বাবুরা মাঝে মধ্যেই লোক দেখানো ছিচকে চোরেদের গ্রেপ্তার করলেও লঘু ধারায় মামলা নেওয়ার কারনে সহজেই আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে এই সব চোরেরা। গত সপ্তাহ খানেক সময়ের মধ্যে রাজধানী শহরে কমকরেও ডজনখানেক চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সক্রিয়তা দেখালেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেও উদাসীন। ফলে চুরির ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বুধবার ফের একবার বিভিন্ন চুরি যাওয়া সামগ্রী সহ নয় জন কুখ্যাত চোরকে জালে তুলতে সক্ষম হয়েছে এনসিসি থানার পুলিশ। এই চুরি যাওয়া সামগ্রীর বাজারমূল্য আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকা হবে। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে চোর চক্র সম্পর্কে নানা তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছেন নিউ ক্যাপেলের কমপ্লেক্স থানার ওসি সুশান্ত দেব। তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর কুঞ্জবন এলাকার বাসিন্দা হিরক সরকারের বাড়িতে চোরের দল হানা দিয়েছিল।পরবর্তী সময়ে থানায় লিখিত মামলা দায়ের করেন হিরক সরকার। তাছাড়া, আসাম রাইফেল এবং কুমারী টিলার কালী মন্দিরে চোরের দল হানা দিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।অবশেষে চোর চক্রকে জালে তুলতে সক্ষম হয় পুলিশ। চোর চক্রের সাথে জড়িত মোট নয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় নিয়ে গিয়ে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে একটি সিলিন্ডার, মন্দিরের ঘন্টা, গলার চেইন, ব্যাটারি, বাইসাইকেল সহ আরও অনেক জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। আজ তাদের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয় বলেও জানান তিনি। তবে এই সব চুরির মাল তারা কোথায় নিয়ে রাখেন ? শহরের কোন কোন দোকানে চুরির সামগ্রী বিক্রি করে তারা এই সব তথ্য এখনো জনা বাকী পুলিশের। ধৃতদের রিমান্ড মঞ্জুর হলে চোর চক্রের মাস্টারমাইন্ডদের জালে তোলা হবে বলেও জানান ওসি সুশান্ত দেব। এদিকে গোটা শহরে এতো সি সি টিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও বাস্তবে এই সব ক্যামেরার কাজ শুধুমাত্র হেলিমেট বিহীন বাইক চালকদের চালান কাটার কাজেই আসছে, অন্যদিকে পুলিশের বিট পেট্রোল রাতে নাকা গুলিতে দাঁড়িয়ে গাড়ি বাইক আটকে শুধু যান চালকদের মুখে গন্ধ শুকে জরিমানা আদায়ে ব্যাস্ত থাকেন বলে অভিমত সাধারন মানুষের। চোর ছিনতাইবাজদের রুখতে পুলিশের প্রকৃত উদ্যোগের যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত।
Leave a Comment