রাজ্যে বর্ধিত বিদ্যুৎ মাশুল প্রত্যাহারের দাবি সি আই টি ইউ এর পক্ষে থেকে
রাজ্যে অস্থায়ী কর্মীদের সংখ্যা বাড়ছে। পনেরো থেকে কুড়ি বছর হয়ে গেল বহু অস্থায়ী কর্মী এখনো স্থায়ী হয়নি। সম কাজের সম বেতন থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে আগামী অক্টোবর মাসে রাজ্যে কনভেনশনের আয়োজন করা হবে জানিয়েছেন । নভেম্বর মাস থেকে রাস্তায় নামবে সি আই টি ইউ। এতে সমর্থন দেবে রাজ্যের স্থায়ী কর্মচারীরাও। সোমবার সি আই টি ইউ রাজ্য কার্যালয় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা গুলো বলেন সিআইটিইউ রাজ্য কমিটির সভাপতি মানিক দে। তিনি বলেন সারা দেশে চারটি পরিবার সবকিছু লুটে নিচ্ছে। কর্ম নিরূপ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার কারণ কোন হেলদোল নেই। দেশে বিভিন্ন শিল্পকে এ সরকার ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে এসেছে । গ্রামীন শ্রমিকের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। তারা যাতে আসন্ন দুর্গাপূজায় বোনাস এগ্রেসিয়াস পায় তার জন্য শ্রম দপ্তরকে দায়িত্ব নিতে হবে।কারণ শ্রম দপ্তর দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে না। তিনি আরো বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ মাশুল প্রত্যাহার করার জন্য দাবি জানানো হয়েছে ।বর্তমান সরকার দুবার বিদ্যুৎ মাশুল বর্তমান সরকার দুবার বিদ্যুৎ মাশুলবৃদ্ধি করেছে। এগুলি অযৌক্তিক বলে দাবি করেন তিনি। আরোবলেন সভ্য পদের নামে রাজ্যের গাড়ির স্ট্যান্ড গুলিতে চলছে নৈরাজ্য। গাড়ি চালকদের বিজেপির সভ্য পদ গ্রহণ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে শাসক দলের কর্মীরা। নাহলে তাদের কাজ কেড়ে নেবে বলে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে । এগুলি সম্পূর্ণ অনৈতিক বলে দাবি করেন মানিক বাবু । তিনি আরো বলেন, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের কাজ নেই খাদ্য নেই। মানুষ এই বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেউ পরিবারে সদস্যকে হারিয়েছে, আবার কারোর বাড়ি ঘর বন্যার জলে ভেসে গেছে । আর এই দাবি নিয়ে বারবার বলার পরেও সরকার শুনতে চাইছে না। তাই যাদের পরিবারের কোন লোক মারা গেছে তাদের চার লক্ষাধিক টাকা করে সহযোগিতা করা এবং যাদের বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে তাদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব । আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন মানিক দে সহ আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত, পাঞ্চালি ভট্টাচার্য।