মাদক মামলায় পুলিশের জালে এবার তেলিয়ামুড়ার ‘অদৃশ্যপৃষ্ঠপোষকতা’পুষ্ট ব্যাবসায়ী প্রসেনজিৎ বাবু !
রাজ্যে যখন মাদক নির্মূলের দাবি তুলে চলছে বিজেপি সরকার, জনসভায় গলা ফাটাচ্ছে, তখনই বাস্তবে সেই সরকারের চোখের সামনে গড়ে উঠেছে দলীয় কর্মীদর মাদকের সাম্রাজ্য—আর তার কেন্দ্রে রয়েছেন তেলিয়ামুড়ার শান্তিনগরের প্রভাবশালী ব্যাবসায়ী প্রসেনজিৎ রায়।
জানা গেছে আসামের বাজারি ছড়া থানার পুলিশ তেলিয়ামুড়া থানার সহযোগিতায় রবিবার সকালে গ্রেপ্তার করে বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ রায়কে—যিনি শুধু একজন সার ব্যাবসায়ী নন, বরং সরকারের ক্ষমতার ছত্রছায়ায় ফুলে ফেঁপে ওঠা এক মাদকচক্রের মূল পান্ডা ।
তেলিয়ামুড়া শহরে দীর্ঘদিন ধরেই উনার নামে ফিসফিস চলছিল যে, সামান্য ব্যবসায়ী থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার পেছনে উনার মাদকের অবৈধ কারবার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সরকারের ছত্রছায়ায় থাকায় প্রশাসনের তরফে কোনও তদন্ত হয়নি। কেন? প্রশ্ন উঠছে—এই উন্নয়নের মুখোশের আড়ালে কী কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় ছিল তার পিছনে?
NDPS আইন অনুযায়ী, আসামের বাজারি ছড়া থানায় দায়ের হওয়া মামলা (নং 211/24, ধারা 22(c)/25/29)-তে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রসেনজিৎ রায়কে। অথচ ত্রিপুরা প্রশাসন, যার অধীনে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সাম্রাজ্য চালাচ্ছিলেন প্রসেনজিৎ, তারা নীরব দর্শক হয়ে ছিল!
বিশ্বস্ত সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৮ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের পর কৃষ্ণপুর এলাকার ডি.এম. কলোনিতে থাকা এই ব্যক্তি হঠাৎ করেই রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান । তেলিয়ামুড়ায় গড়ে তোলেন রাজপ্রাসাদের মতো বহুতল ভবন, আর সমাজে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হাতিয়ে নেন সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত ক্লাবের সম্পাদকের পদ।
প্রশ্ন উঠছে, এই সম্পদের উৎস কী? কে তাকে রক্ষা করছিল? বিজেপি সরকারের মুখে “মাদকমুক্ত রাজ্য” স্লোগানের বাস্তব রূপ কি এই প্রসেনজিৎ রায়?
এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, রাজ্যে মাদকের শিকড় কত গভীরে বিস্তৃত, এবং তা কাদের ছত্রছায়ায় লালিত হচ্ছে ।
এখন ত্রিপুরাবাসীর একটাই প্রশ্ন—বিজেপি সরকার কি শুধু প্রচারে ব্যস্ত থাকবে, না কি সত্যি সত্যি এই ধরনের মাফিয়া ও তাদের রক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে?