দীর্ঘ এক ঘণ্টা কদমতলা চুরাইবাড়ি সড়ক অবরোধের পর বাধ্য হয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ও কদমতলা ব্লকের ভিডিও অনুমতি দিলেন ডেপুটেশনের।বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শাসক দল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধী দল কংগ্রেসের ডেপুটেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার কান্ড। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লকের অধীন দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। উল্লেখ্য সোমবার বিকাল ৩ ঘটিকায় কদমতলা ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে সাত দফা দাবি নিয়ে পঞ্চায়েত সচিবের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করার কথা থাকলেও কংগ্রেস কর্মীরা যথারীতি পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে দেখেন শাসকদলীয় স্থানীয় ক্যাডাররা সহ দলীয় জনপ্রতিনিধিগণ দক্ষিণ কদমতলা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বসে রয়েছেন। পরে কংগ্রেস কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের দাবি জানাতে না পেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং কদমতলা ব্লক কার্যালয়ের সামনে চুরাইবাড়ি কদমতলার মূল সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান। দীর্ঘ এক ঘন্টা চলে অবরোধ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ সহ সিআরপিএফ জোয়ানরা। কদমতলা ব্লক কংগ্রেসের নেতৃত্বরা জানান চলতি মাসের ১ তারিখ ভিডিও নিকট চিঠি দেওয়া হয়েছিল যে ৭ তারিখে দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ডেপুটেশন প্রদান করা হবে। কিন্তু এদিন ভিডিওর সহযোগিতা না পেয়ে পথ অবরোধ করতে বাধ্য হন কদমতলা ব্লক কংগ্রেসের নেতৃত্ব সহ কর্মীরা। পরবর্তী সময়ে এক ঘণ্টা অবরোধের পর কদমতলা থানার পুলিশ ও ব্লক আধিকারিক ছুটে এসে ডেপুটেশনের অনুমতি দিলে রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার হয়। এবং পুনরায় দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে তাদের সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ডেপুটেশন প্রদান করেন। এ দিনকার এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত চৌধুরী, ৫৪ কুর্তি কদমতলা ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মানিক লাল দাস, ব্লক ওয়ার্কিং কমিটির প্রেসিডেন্ট ছায়াদ আলী, যুব কংগ্রেস সভাপতি দিলওয়ার হোসেন সহ নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সদস্যরা। এদিকে ডেপুটেশন শেষে প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত চৌধুরী জানান কদমতলা ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিগত পয়লা এপ্রিল কদমতলা ব্লক আধিকারীকে জানানো হয়েছিল ৭ এপ্রিল বিকেল তিন ঘটিকায় জনস্বার্থ সম্মিলিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। সেই মোতাবেক স্থানীয় পুলিশ কেও জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারপরও এক প্রকার পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে রাখেন শাসকদলের ক্যাডার বাহিনীরা। শেষে এক ঘন্টা রাস্তা-অবরোধের পর ব্লক আধিকারিকের সাথে কথা বলে স্থানীয় পুলিশের এক আধিকারিকের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার করে তারা ডেপুটেশনে মিলিত হয়। তিনি বলেন ডেফুটেশনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হয়েছে। প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ে তাদের চোখে। তাছাড়া এমজিএনরেগায় শ্রমিকরা কাজ পায়নি, যারা ২০০ দিনের কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন ১০০ দিনের ও কাজ দিতে পারে না শ্রমিকদের। তাই পঞ্চায়েত সচিবকে সমস্ত দাবি জানিয়ে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার জন্য। পঞ্চায়েত সচিব কথা দিয়েছেন আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে তাদের সমস্ত দাবিদাওয়া গুলোর খতিয়ে দেখে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে, এমনটাই জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব আব্দুল বাছিত চৌধুরী।