বিশ্বকর্মা পূজা নামে সরকারি টাকা আদ্যশ্রাদ্ধ করে মধ্যাহ্ন ভোজনের পাশাপাশি রাতে কর্মচারী বিনোদনের নামে উদাম নৃত্য। মধ্যাহ্ন ভোজনের প্রতি প্লেটের দাম প্রায় ৭০০ টাকার উপরে এমনটাই গুঞ্জন রয়েছে বিলোনিয়া জুড়ে। ১৬ ই সেপ্টেম্বর রাত থেকে শুরু করে ১৯শে সেপ্টম্বর পর্যন্ত চলে বিশ্বকর্মা পূজা নামে কর্মচারী বিনোদন। তাও আবার সরাসরি ঝলসার আসরে ব্যানার লাগিয়ে। সত্যি দেখিয়ে দিল কর্মচারী বিনোদন কাকে বলে , কত প্রকার ও কি কি । এ যেন চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে আমরা ভেবে পারব কি এক অকল্পনীয় দৃশ্যের সাক্ষী রইল গত চার দিন ধরে জেলা বাসীরা।একদিকে ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে দক্ষিণ জেলায় বন্যায় হাহাকার , এই দক্ষিণ জেলা মানুষের জন্য এমন অবস্থা যে কোন সামাজিক সংস্থা যার যার সামর্থ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে বন্যায় দুর্গতদের সাহায্য করার আবার অপরদিকে যে বন্যার নিয়ন্ত্রণ কর্তা অর্থাৎ দক্ষিণ জেলা প্রশাসন সেই জেলা প্রশাসনের অফিসের কর্মচারীরায় উন্মুক্ত মদ মত্ত নৃত্যে শামিল হল বিশ্বকর্মা পূজার নামে সরকারি বিনোদনের নাম করে গতকাল দক্ষিণ জেলা সদর বিলোনিয়া মহকুমার দক্ষিণ জেলাশাসক অফিসের কর্মচারীরা এক সংগঠনের নাম দিয়ে আগের দিন বিশ্বকর্মা পূজার আয়োজন করেছে সে বিশ্বকর্মা পূজোর মনোরঞ্জন এর নামে জলসার আয়োজন করে জেলা সভাধিপতির অফিস এবং ডিডাব্লিউডি অফিস কার্যালয়ে মাঠে। যেখানে দেখা যায় শুল্ক দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে জেলাশাসক অফিসের কর্মচারীরা সকলে উপস্থিত ছিলেন জলসার আসরে । কিন্তু এই আসরে এক শ্রেণীর কর্মচারীরা মদমত্ত অবস্থায় শামিল হয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন। অপরদিকে দক্ষিণ জেলার মানুষ এখনো তাদের সে ঘর বাড়ি হারানো স্বজন হারানো ব্যথা এখনো ভুলতে পারেনি, এখনো নিজ বাড়িতে পৌঁছাতে পারেননি এবং হাজার হাজার লোক শরণার্থী হয়ে রয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ জেলা প্রশাসন লাখোয়ারী টাকার বাজেট নিয়ে বিশ্বকর্মা পূজার নামে উদ্দাম নৃত্যেuসামিল হল দক্ষিণ জেলা শাসকের কর্মচারীরা ।যারা এতমহৎ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক রাকেশ ভৌমিক,নাজির পার্থ দাস, অফিস কর্মি পুলক পোদ্দার