রাজ্যের ত্রিপল ইঞ্জিনের এক ইঞ্জিন তিপ্রা মথা। জনজাতিদের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে এডিসি দখল করে তিপ্রা মথা। কিন্তু গত চার বছরে এডিসির কতখানী কি উন্নয়ন হয়েছে তা পাহাড়ি জনপদে পা রাখলেই বোঝা যায়। তবে সাধারন মানুষের জীবন জীবিকার মানোন্নয়ন নাহলেও নেতা মন্ত্রীদের বিকাশ ঘটেছে দারুন ভাবে। রাজ্যের ত্রিপল ইঞ্জিনের সরকারের প্রধান স্লোগান স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি, সুশাসন আর নেশামুক্ত ত্রিপুরা। তবে এই স্লোগানের তিনটাই এখন হাসির খোরাক, কেননা সুশানের প্রকৃত চেহারা নির্বাচনের দিনগুলিতে প্রত্যক্ষ করেছে মানুষ।স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির কথায় বলা যায়, নিয়োগইতো নেই, স্বচ্ছতা আসবে কোথা থেকে।আর যাও কিছু নিয়োগ হয়েছে তাতেও গত ছয় বছরে একাধিক অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। খোদ শাসক দলের নেতা কর্মীরাই মন্ডল নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমনি নিয়োগ নিয়ে কিছুদিন আগেও বিভিন্ন সেন্টারে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। একই কায়দায় পাহাড়ে সরকার চালিয়ে যাচ্ছে মথা। জনজাতিদের আলাদা রাজ্যের স্বপ্নে বিভোর করে নিজেদের আখের ঘোচাতে ব্যাস্ত তিপ্রা মথার নেতা মন্ত্রীরা। একদিকে জনজাতি জনপদে কাজ খাদ্যের অভাবের অভিযোগ উঠে আসছে। জনজাতিরা পাহাড় জঙ্গল থেকে বিভিন্ন শাক সবজি ফলমুল সংগ্রহ করে
শহরে এসে বিক্রি করে দিনাতিপাত করছেন আর অন্যদিকে সুশাসনের শরিকদাররা সরকারী অর্থ লুটের বানিজ্যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এডিসি-র সাব-জেডিও এবং ডেপুটি পিও পদের নিয়োগেও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন এবং কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠার পর, এবার এডিসি-র ডেপুটি পিও পদে নিয়োগে কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠে এসেছে । সাব-জেডিও এবং ডেপুটি পিও পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশ করার আগেই, ঠিক করা ছিলো চূড়ান্ত তালিকা ।তেমনি এডিসি-র ডেপুটি পিও পদে ইন্টারভিউ নেওয়ার আগেই ঠিক করা ছিল কাকে চাকরী দেয়া হবে । এডিসি-র এক ই এম-র নির্দেশে বেআইনি ভাবে চাকরি প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম পাঠিয়েছেন পূর্বের রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ।এডিসি-র সাব-জেডিও এবং ডেপুটি পিও পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার উত্তর ফাঁস হয়ে যাবার পরে লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল । ভেঙে দেওয়া হয়েছিল পূর্বের রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ।কিন্তু মন্ত্রীর নির্দেশ বলে কথা ।পূর্বের রিক্রুটমেন্ট বোর্ড-এর বেআইনি ভাবে ঠিক করা প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতে যাচ্ছে এডিসি ।তাদের নাম হচ্ছে তিপরা মোথার নেতা মিল্টন দেববর্মা এবং আগরতলার এডভাইজার চৌমুহনীর ওএনজিসিতে চাকুরী জীবির মেয়ে মেরিনা দেববর্মা । কিন্তু অভিজ্ঞ এবং যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেন এর মাধ্যমে চলছে চাকুরীর কেলেঙ্কারী ।এভাবেই মহারাজার নাম ভাঙিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে এডিসি-র কয়েকজন অফিসার এবং মন্ত্রী । কিন্তু কিছই কি জানেন না এডিসি-র এএআরসি-র চেয়ারম্যান মহারাজা প্রদ্যোত কিশোরে দেববর্মা ? অপরদিকে বেআইনি ভাবে ঠিক করা প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতেই, আইনে দারস্ত হবার জন্যে প্রস্তুত রয়েছে বঞ্চিত যোগ্য প্রাথীরা ।এখন দেখার বিষয় হচ্ছে এডিসি-র এএআরসি – র চেয়ারম্যান মহারাজা প্রদ্যোত কিশোরে দেববর্মার কানে এই খবর পৌঁছানোর পরে কি ব্যবস্থা নেয় মহারাজা প্রদ্যোত কিশোরে দেববর্মা ।
Leave a Comment